বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
বানারীপাড়া প্রতিনিধি॥
বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের হালিমা খাতুন ফাজিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে একাধিকবার বাল্য বিয়ে দেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ছাত্রীর বাবা মোঃ বাদল মিয়া পশ্চিম লবনসাড়া গ্রামের বাসিন্দা, সে পেশায় একজন শ্রমিক। প্রায় ৫ মাস পূর্বে বাদল মিয়া তার মেয়েকে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের করপাড়া গ্রামের মোঃ বাদশা সিকদারের ছেলে মোঃ ইমরান সিকদারের সাথে বাল্য বিবাহ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার স্ত্রীর পরামর্শে বিবাহ দেয় বলে জানান স্থানীয়রা।
পরে মেয়ের পরিবার তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করে,মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ি না পাঠিয়ে কয়েক মাসের মাথায় মেয়েকে দিয়ে ডিফোর্স’র কাগজ পাঠায় জামাতার বাড়িতে। এলকাবাসী জানান, বাদলের পরিবার তাদের অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া মেয়েকে গত কয়েকদিন আগে পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার মাগুরা গ্রামের মোঃ হিরণ নামের এক ছেলের সাথে পূণরায় বাল্য বিবাহ দেয় । এনিয়ে ওই এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হুমাযুন কবির জানান, নাবালক মেয়েটিকে প্রথম বিবাহ দেয়ার সময় সে সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গরা বার বার নিষেধ করার পরেও ওই পরিবারটি গোপনে তাদের মেয়েকে বাল্য বিবাহ দেয়। সম্প্রতি সেখান থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে পূণরায় মেয়েটিকে বিয়ে দেয়।
এদিকে প্রথম স্বামী ইমরানের পরিবার দাবী করেছেন, মেয়ের পরিবার থেকে তাদের কেউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালেও, বিবাহের সময় তাদের পক্ষ থেকে মেয়েকে দেয়া স্বর্ণলংকার সহ অন্যান্য মালামাল রেখে দেয়া তারা। এসব বিষয়ে জানতে সরেজমিনে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ মেয়ের বাড়িতে গেলে আগে থেকেই সংবাদ পেয়ে তারা ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।
Leave a Reply